রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটকের পর পরীমনিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তার প্রথম স্বামী ফেরদৌস কবীর সৌরভ।
পরীমনির নাম পরিবর্তন করে তারকা হয়ে যাওয়ার গল্প উঠে এসেছে সৌরভের মুখে। উশৃঙ্খল জীবনযাপনের পরিণতি এমনটাই হবে বলে ধারণা ছিল সৌরভের।
বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনিকে তার বাসা থেকে প্রথমে আটক করা হয়। র্যাবের অভিযানে পরীমনির বাসায় বিপুল পরিমাণ মদ ও ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ বনানী থানায় নিয়ে এসেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলায় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
পরীমনির গ্রেপ্তারের পর তার সাবেক স্বামী ফেরদৌস কবীর সৌরভের সাক্ষাৎকার নিয়েছে একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা। বৃহস্পতিবার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে সৌরভ জানান, শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির সঙ্গে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয় সৌরভের। সৌরভ ভালো ফুটবল খেলতে পারায় তার ডাক পড়ে ঢাকায়। তখন স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে বাসা ভাড়া নেন। পরীমনিকে মিরপুরের একটি কলেজে ভর্তি করেন।
সৌরভের দেয়া তথ্য মতে, কলেজে পড়া অবস্থায় মিডিয়ায় জড়িত এক ব্যক্তির নজরে পড়েন পরী। পরীর বিভিন্ন রকম ছবি তুলে পত্রিকায় ছাপেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাকে মডেল ও অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখান সেই ব্যক্তি। তখন থেকেই শামসুন্নাহার স্মৃতি নাম পাল্টে পরীমনি হয়ে যান।
এর কিছু দিন না যেতেই পরীমণি উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন। ফলে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব শুরু হয়। পরে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত সেই ব্যক্তিকে পরীমনি বিয়ে করেছেন বলে সৌরভ জানতে পারেন। এরপর ২০১৫ সালে সৌরভ ঢাকা ছেড়ে কেশবপুরে ফিরে যান।
স্বামীকে বিদায় করার পরই পরীমনি মাদকে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিয়মিত মাদকাশক্ত বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় মিনিবার ছিল, যেখানে ডিজে পার্টি করা হতো। সেখানে মাদক গ্রহণ চলতো। পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন নায়িকা পরীমণি। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। আর অভিনেতা-প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমণির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন। তার বাসায় যাতায়াত করতেন তালিকা করে যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান খন্দকার আল মঈন। খবর ইত্তেফাকের।
পাঠকের মতামত: